মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ: বাংলাদেশের জন্মগাথা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার এক অবিস্মরণীয় যুদ্ধ। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বহুদিনের অসমতা, বৈষম্য ও শোষণের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের চূড়ান্ত পরিণতি ছিল এই মুক্তিযুদ্ধ। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধের সূচনা হয়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এই নৃশংস অভিযানে লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি নিহত ও নির্যাতিত হয়।

এই অত্যাচারের প্রতিবাদে বাঙালিরা স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিবাহিনী, গণবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিরোধী বাহিনীর সাহসী যোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করে।

নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এই বিজয়ের ফলে একটি নতুন দেশের জন্ম হয় - স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মৃতি চিরস্মরণীয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণ
  • ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা
  • মুজিবনগর সরকারের গঠন
  • মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধ
  • ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি আত্মসমর্পণ
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন

গণমাধ্যমে - মুক্তিযুদ্ধ

১ জানুয়ারী ১৯৭১, ৬:০০ এএম

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই।

মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।