মিরপুর ও পল্লবী: ঢাকার দুই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল
ঢাকা মহানগরীর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মিরপুর ও পল্লবী দুটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। মিরপুর ঢাকার একটি প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা এবং বিনোদন কেন্দ্র সমৃদ্ধ। পল্লবী, মিরপুরের উত্তরে অবস্থিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যা দ্রুত বিকাশমান শহরাঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
মিরপুর:
- ভৌগোলিক অবস্থান: ঢাকা জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, ৫৮.৬৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তন।
- ইতিহাস: মোঘল আমলে “মীর” উপাধিধারী কোন ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মিরপুর পাকিস্তানের দখলমুক্ত হয়। ৩১ জানুয়ারি মিরপুর মুক্ত দিবস হিসাবে পালিত হয়।
- উল্লেখযোগ্য স্থাপনা: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গ্রামীণ ব্যাংক, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, শাহ আলী বাগদাদী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।
- জনসংখ্যা: প্রায় ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৩২ জন।
- অর্থনীতি: বসতি, বাণিজ্য, এবং বিভিন্ন সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল।
- যোগাযোগ: মিরপুরে ঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশন চালু রয়েছে।
পল্লবী:
- ভৌগোলিক অবস্থান: মিরপুরের উত্তরে অবস্থিত, আয়তন প্রায় ২৫.২৮ বর্গ কিলোমিটার।
- ইতিহাস: ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ পল্লবী থানা গঠিত হয়।
- উল্লেখযোগ্য স্থাপনা: মিরপুর ১২ নং ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, মুসলিম বাজার বধ্যভূমি, নূরানী মসজিদ সংলগ্ন গণকবর।
- জনসংখ্যা: প্রায় ৪ লক্ষ ১২ হাজার ২১৭ জন।
- অর্থনীতি: আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা, এবং কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস্, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি, স্টাফ কলেজ, শহীদ জিয়া স্মৃতি মহিলা মহাবিদ্যালয়, পল্লবী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ইত্যাদি।
উভয় অঞ্চলের সাধারণ তথ্য:
মিরপুর ও পল্লবী উভয়ই ঢাকা মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিনোদন কেন্দ্রের উপস্থিতি এই দুটি এলাকাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে, জনসংখ্যার চাপ, যানজট, এবং অবকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যা এই দুই এলাকায় উল্লেখযোগ্য।