মিথুন আহমেদ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২২ এএম

মিথুন আহমেদ: একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শিল্পী

মিথুন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার, নাট্যকর্মী, চিত্রশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি আশির দশক থেকেই বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত এবং আবৃত্তি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

জন্ম ও শিক্ষা:

মিথুন আহমেদের জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে ঢাকা শহরে। তিনি ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক, নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্ব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ভারতের পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যশাস্ত্র ও অভিনয়কলায় 'আই.সি.সি.আর' স্নাতকোত্তর বৃত্তি লাভ করেন, যদিও পরবর্তীতে তিনি সেটি গ্রহণ করেন নি।

কর্মজীবন:

মিথুন আহমেদ দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকতা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিজ্ঞাপন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক বিমান ব্যবস্থাপনায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি এক ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানির ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৮৪ সালে এস এম সোলাইমানের ‘ঢাকা পদাতিক’ নাট্য দলের সাথে যুক্ত হয়ে গ্রুপ থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি অভিবাসী জীবনে ‘থিয়েটার থিয়েটার’ নাট্য সংগঠন গঠন করেন। তিনি নাটক রচনা, পারফরম্যান্স আর্ট এবং চারুশিল্পেও দক্ষ। তিনি দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘দুই ফর্মা প্রেম’ (১৯৮৬) এবং ‘পকেট ভরতি পদ্য’ (২০০৮) প্রকাশ করেছেন। আবৃত্তির ক্ষেত্রে তিনি প্রচুর সংখ্যক আবৃত্তি ও শ্রুতি নাটকের অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড:

মিথুন আহমেদ বাংলাদেশের আবৃত্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘স্বরশ্রুতি’ , ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি ফেডারেশন’, ‘আবৃত্তি শিল্পী সংসদ’, ‘আবৃত্তিকার সংঘ’ এবং ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ‘নিউইয়র্ক রেসিটেইশন ফেস্টিভাল কমিটির’ চেয়ারম্যান এবং ‘থিয়েটার থিয়েটার’ নাট্য সংগঠনের দলপ্রধান ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করছেন।

সম্মাননা:

২০২০ সালে, তিনি টরন্টোর জনপ্রিয় আবৃত্তি সংগঠন ‘বাচনিক’ এর দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘বাচনিক সম্মাননা’ পুরষ্কারে ভূষিত হন।

আরও তথ্য:

মিথুন আহমেদের জীবন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য, সম্পর্কিত গবেষণা এবং প্রকাশনা পর্যালোচনা করা উচিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে ঢাকায় জন্ম
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
  • আবৃত্তি, নাটক, চারুকলায় অবদান
  • বাংলাদেশ ও প্রবাসে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ
  • ‘বাচনিক সম্মাননা’ পুরস্কারে ভূষিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মিথুন আহমেদ