মিজানুর রহমান শামীম: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অত্যন্ত সম্মানিত লেফট্যানেন্ট জেনারেল এবং বর্তমানে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ। ১৮ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী শামীম ঢাকা কলেজে লেখাপড়া শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডিএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এমবিএ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে মাস্টার্স অব ফিলোসফি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে তিনি ১৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে যোগদান করেন এবং ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সারজেন্সী অপারেশনে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড এবং স্টাফ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অপারেশন নাফ, অপারেশন দাবানল এবং অপারেশন উত্তরণ। তিনি দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন (২৬ বীর এবং ৫৯ ই বেঙ্গল) এবং আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট কমান্ড করেছেন। এছাড়াও, তিনি ১১১ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের চেয়ারম্যান এবং ৮টি স্কুল ও কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালক, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ৯ আগস্ট ২০২০ সাল থেকে ১৯শে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি হাইতি (১৯৯৪) এবং ইরাক (২০০২) -এ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অংশগ্রহণ করেছেন। শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ‘ফোর্স কমান্ডারের প্রশংসাপত্র’ (হাইতি) এবং ‘মিশন প্রধানের প্রশংসাপত্র’ (ইরাক) লাভ করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে তাকে ‘অসামান্য সেবা পদক’ প্রদান করা হয়। তার স্ত্রী রেহানা পারভীন মুক্তি এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।