মাইন উদ্দিন আহমেদ: একজন অসাধারণ সাংবাদিকের জীবন ও কর্ম
বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন মাইন উদ্দিন আহমেদ। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ ডিসেম্বর ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ বারাহি গোবিন্দ গ্রামে। একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী এই সাংবাদিক প্রায় ৪০ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি দৈনিক সংবাদ, অধুনালুপ্ত সরকারি পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলা’ এবং ফেনী থেকে প্রকাশিত রৌশনাবাদ, স্বদেশ কন্ঠ, জাতীয় বার্তা সহ আরও অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, যদিও মুক্তিযুদ্ধের সনদ সংরক্ষিত না থাকায় তিনি সরকারি তালিকাভুক্ত হতে পারেননি।
মাইন উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয় ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর। তিনি স্ত্রী কোহিনুর আক্তার, বড় ছেলে আহমেদ রেজওয়ান (প্রতিদিনের সংবাদ ও বাংলাদেশ মোমেন্টস এর ফেনী জেলা প্রতিনিধি), দ্বিতীয় ছেলে আহমেদ ইশতিয়াক (ব্যাংকার), ও মেয়ে সুমাইয়া শারমিন (ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্রী)সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় প্রতিবছর।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারী, নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক মাইন উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রবীণ সদস্য। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি ইংরেজি সাংবাদিকতায় দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার কর্মস্থল ছিল ইংরেজি ডেইলি এশিয়ান এইজ। তিনি ডেইলি নিউনেশন, বাংলাদেশ অবজারভার ও ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায়ও কাজ করেছেন। নিয়মিত কবিতা ও ছড়া লিখতেন। তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা: পদভারে জাগ্রত সিঁড়ি, গোমর ওইলো হাক, অন্যত্র চলো, পরাবাস্তবতা এবং কবিতার সিঁড়ি প্রভৃতি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামে।