মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
নামান্তরে:
Cabinet Division
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ: একটি গভীর বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে কার্যকর হয় এবং সরকারের নির্বাহী কাজ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং সার্বিক প্রশাসনিক দিক তত্ত্বাবধান – এ সব ক্ষেত্রেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইতিহাস:

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাচিবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ‘মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে এটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অধীনে চলে যায়। ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর অক্টোবরে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ’ হিসেবে গঠন করা হয়।

কার্যাবলি:

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কার্যাবলী বহুমুখী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • মন্ত্রিসভা এবং বিভিন্ন কমিটির বৈঠকের আহ্বান ও আলোচ্যসূচী প্রণয়ন।
  • মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার কাছে প্রয়োজনীয় নীতিপত্র ও তথ্য উপস্থাপনের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
  • মন্ত্রিসভার বৈঠকের কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধকরণ ও বিতরণ।
  • মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তত্ত্বাবধান ও প্রতিবেদন উপস্থাপন।
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যাবলি পর্যালোচনা ও প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন।
  • আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধন।
  • রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত কাজ।
  • কার্যবিধিমালা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কার্যবণ্টন নিশ্চিত করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব:

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান হলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি সরকারের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের একজন। তার দায়িত্ব অনেক ব্যাপক এবং তিনি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

স্থান:

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে অবস্থিত।

উপসংহার:

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর অপরিহার্য অংশ। এটি সরকারের নির্বাহী কাজ পরিচালনায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধনে ও সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিচালনা দেশের উন্নয়ন ও সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রমের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা
  • প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন
  • সরকারের নির্বাহী কাজ পরিচালনা
  • আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়
  • মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কমিটির তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জেলা প্রশাসকদের তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির তথ্য হালনাগাদ করে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে।

২ জানুয়ারি ২০২৫

সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে।

২ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

২ জানুয়ারি ২০২৫

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংস্কার কমিশনগুলির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সচিবালয় অগ্নিকান্ড তদন্তের জন্য।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।

২৩/১২/২০২৪

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্ত কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবালয়ের অগ্নিকান্ডের তদন্তের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবালয় অগ্নিকান্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

৩১/১২/২০২৪

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল এবং তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন জমা নেবে।

২ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।