মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
নামান্তরে:
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সাচিবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৭২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিভাগ হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে এটি রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের অধীনে, পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের অধীনে, এবং ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয়ের আওতায় যায়। ১৯৮৩ সালে আবারও এটি রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের অধীনে চলে আসে। তবে, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ১৯ অক্টোবর ১৯৯১ সালে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে গঠিত হয়। Rules of Business, 1996 এর Schedule 1-এর ক্রমিক ৪-এ এর অবস্থান নির্ধারিত। এ বিভাগ সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কার্যাবলি ব্যাপক ও বহুমুখী। মন্ত্রিসভা ও কমিটিসমূহের সাচিবিক সহায়তা প্রদান, সিদ্ধান্তসমূহের হেফাজত ও বাস্তবায়ন পর্যালোচনা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পারিশ্রমিক ও বিশেষ অধিকার নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ ও পদত্যাগের ব্যবস্থাপনা, কার্যবিধিমালা ও কার্যবন্টন নির্ধারণ, জাতীয় পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি এর অন্তর্গত। এছাড়াও, উপজেলা, জেলা ও বিভাগসমূহের সাধারণ প্রশাসন, প্রশাসনিক সংস্কার, জাতীয় শোক দিবস পালন, এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ড. শেখ আব্দুর রশীদ ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে এ নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত হয়।
  • ১৯৯১ সালে স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে গঠিত হয়।
  • মন্ত্রিসভার সাচিবিক সহায়তা প্রদান এর প্রধান কাজ।
  • প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
  • ড. শেখ আব্দুর রশীদ ২০২৪ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগদান করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।