মনিরুজ্জামান পলাশ এবং পলাশ উপজেলার ইতিহাস:
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী, মনিরুজ্জামান পলাশ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, পলাশ উপজেলার ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো। পলাশ উপজেলা (নরসিংদী জেলা) ৯৪.৪৩ বর্গ কিমি আয়তনের একটি প্রশাসনিক এলাকা। এর অবস্থান ২৩°৫৩´ থেকে ২৪°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৪´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ১৯৭৭ সালে পলাশ থানা গঠিত হয়, যা বর্তমানে উপজেলা।
ঐতিহাসিক নিদর্শন: পলাশ উপজেলায় পারুলিয়া মসজিদ (১৭১৬), ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ী মসজিদ, দেওয়ান শরীফের মাযার, ডাঙ্গা ভোলাবো প্রাচীন কালীবাড়ি ও যজ্ঞেশ্বর সাধুর আশ্রম (১০৯২), ডাঙ্গার কথুনাথের মন্দির, বরাব কানাই লালের মন্দির ইত্যাদি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি: উপজেলার চরণগরদী এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ময়মনসিংহের মনির হোসেন নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এই ঘটনাটি পলাশ উপজেলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি: উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২১২৬১২, যার মধ্যে পুরুষ ১০৭৫১৮ এবং মহিলা ১০৫০৯৪। কৃষি, ব্যবসা, চাকরি ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস। ধান, গম, আখ, পিঁয়াজ, রসুন, শাকসবজি প্রধান কৃষি ফসল।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: উপজেলার গড় শিক্ষার হার ৫৮.৬%। চরসিন্দুর হাইস্কুল (১৯১৯), পারুলিয়া হাইস্কুল (১৯৩৩), ঘোড়াশাল হাইস্কুল (১৯৪৫) উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য সেবার জন্য উপজেলা হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে।
যোগাযোগ: পাকা, আধা-পাকা ও কাঁচা রাস্তা ছাড়াও নৌপথ ও রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে পলাশ উপজেলায়।
উল্লেখযোগ্য স্থান: ঘোড়াশাল বাজার, ডাঙ্গা হাট, চরসিন্দুর হাট, জিনারদী মেলা, ঘোড়াশাল মেলা, চরসিন্দুর মেলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।