মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত: একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সম্পাদক
মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত একজন গুণী ব্যক্তিত্ব যিনি চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং স্বাধীনতার পর থেকে সাংবাদিকতায় নিজেকে নিবেদন করেছেন। তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ সাংবাদিকতা জীবন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাথে জড়িত। তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্টার, বিশেষ সংবাদদাতা ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, এর মধ্যে "ইত্তেহাদ" ও "ইজতিহাদ" উল্লেখযোগ্য। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত "ইজতিহাদ" পত্রিকার প্রকাশনা একসময় সরকার নিষিদ্ধ করলেও পরে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হয়।
শুধু সাংবাদিকতায় নয়, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বিশ্ব প্রেস কাউন্সিল, চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম এডিটরস কাউন্সিল, পূর্বাঞ্চলীয় সংবাদপত্র পরিষদ, বাংলাদেশ সম্পাদক সমিতিসহ আরও অনেক সংগঠনের সদস্য ও নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বাধীনতা এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি হাটহাজারী ফটিকা আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনীর প্রধান ছিলেন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তিনি সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তা তার কর্মজীবনে স্পষ্ট।
তার পরিবারের পটভূমিও উল্লেখযোগ্য। তিনি মরহুম আবদুল লতিফ উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র, যিনি চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. এল এ কাদেরীর ছোট ভাই এবং মোহরাস্থ পীরে কামেল হযরত মাওলানা নূর আহমদ আল কাদেরীর দৌহিত্র।
মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের জীবন ও কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায় যুক্ত করেছে। তার অবদানের কথা আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হলে আমরা নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করে আপডেট করব।