ভৈরবা গ্রাম

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৩২ এএম

ভৈরব: একটি বহুমুখী পরিচিতি

প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, "ভৈরবা গ্রাম" শব্দটি দ্বারা একক কোনো গ্রামকে নয়, বরং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার অধীনস্থ ৮৪ টি গ্রামের সমষ্টি বোঝানো হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। ভৈরব উপজেলার বিস্তারিত তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো:

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা: ভৈরব উপজেলা ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। উপজেলার আয়তন প্রায় ১৩৯.৩২ বর্গ কিমি। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ২,৪৬,৮২০ জন (পুরুষ: ৫১%, নারী: ৪৯%)। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নেই। উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়ন, ৩২টি মৌজা এবং ৮৪টি গ্রাম রয়েছে।

প্রশাসনিক ইতিহাস: ভৈরব থানা হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯০৬ সালে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়। ১৯৫৮ সালে ভৈরব পৌরসভা গঠিত হয়।

অর্থনীতি: ভৈরবের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, চীনাবাদাম, সরিষা, আলু, ডাল, তিল, মরিচ, ধনিয়া, আদা, হলুদ ও বিভিন্ন শাকসবজি। মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জুটমিল, রাইসমিল, চিড়ামিল, স্টিল মিল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, সাবান ফ্যাক্টরি, বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং আরও অনেক। কুটির শিল্প হিসেবে স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশের কাজ এবং বেতের কাজ উল্লেখযোগ্য। কয়লা ব্যবসাও ভৈরবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। জুতা শিল্প উল্লেখযোগ্য এবং দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জুতা উৎপাদন কেন্দ্র।

শিক্ষা: ভৈরব উপজেলায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসা, জুনিয়র হাই স্কুল, কওমী মাদ্রাসা, কলেজ, ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ স্কুল এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০২৪ সালের তথ্য অনুসারে, উপজেলায় ৯টি কলেজ এবং ১৯টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও ৯টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।

ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থাপনা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভৈরব উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়। উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে স্মৃতি ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার মধ্যে রয়েছে নীলকুঠি (শিমুলকান্দি), ইমামবাড়ি (শিমুলকান্দি), গজারিয়া গ্রামের জগবন্ধুর অট্টালিকা, তিতুমিয়ার অট্টালিকা, এবং ভৈরব বাজারে কারুকার্য খচিত রবীন সাহার অট্টালিকা।

অন্যান্য তথ্য: ভৈরব উপজেলায় ২০৮টি মসজিদ, ৭টি মন্দির, এবং ২টি আখড়া রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে পাকা রাস্তা, আধা-পাকা রাস্তা, কাঁচা রাস্তা, নৌপথ এবং রেলপথ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বন্যা উল্লেখযোগ্য। এনজিওসমূহের কার্যক্রম উপজেলায় ব্যাপক।

উল্লেখযোগ্য গ্রাম: উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য গ্রামগুলোর তথ্য প্রদত্ত পাঠ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপডেট করা হবে।

প্রদত্ত তথ্যে ভৈরব উপজেলার ৮৪ টি গ্রামের পৃথক তথ্য উপলব্ধ নেই। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আরও তথ্য সংগ্রহের। অনুগ্রহ করে পরবর্তীতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ভৈরব উপজেলায় ৮৪ টি গ্রাম রয়েছে।
  • মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
  • ১৯০৬ সালে থানা হিসেবে, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
  • কৃষি, জুতা শিল্প ও কয়লা ব্যবসা অর্থনীতির প্রধান অংশ।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ভৈরবা গ্রাম

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আসাদুল ইসলামের গ্রামের নাম।