বড়াইল নামের একাধিক স্থান বাংলাদেশে অবস্থিত। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুটি বড়াইলের তথ্য পাওয়া গেছে: একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় এবং অপরটি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। উভয় বড়াইলের তথ্য নিচে পৃথকভাবে দেওয়া হলো:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়াইল ইউনিয়ন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ১ নং বড়াইল ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। এই ইউনিয়নের আয়তন ২,৫৪৮ একর (১০.৩১ বর্গ কিলোমিটার) এবং ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ২০,০৪০ জন ছিল (পুরুষ ৯,৪৩৬ জন, মহিলা ১০,৬০৪ জন)। ৩,৭১২ টি পরিবার এই ইউনিয়নে বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৯৪৩ জন। ইউনিয়নটির সাক্ষরতার হার ৫০.৫%। বড়াইল ইউনিয়ন পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অধীনে ছিল। বর্তমানে নবীনগর উপজেলার উত্তরাংশে এর অবস্থান। পশ্চিমে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন, দক্ষিণে তিতাস নদী ও বিদ্যাকুট ইউনিয়ন, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন এবং উত্তরে পাগলা নদী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন, আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়ন ও শরীফপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। প্রশাসনিক কার্যক্রম নবীনগর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৭নং নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর অংশ। বড়াইল বাজার ও গোসাইপুর বাজার এ ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য স্থান। ১ নং বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা থেকে সড়কপথে বড়াইল, জালশুকা ও চরগোসাইপুর পেরিয়ে নবীনগর পৌঁছানো যায়। তিতাস ও পাগলা নদী দিয়েও যাতায়াত সম্ভব।
জয়পুরহাটের বড়াইল ইউনিয়ন:
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তর্গত বড়াইল ইউনিয়নের আয়তন ২৩ বর্গ কিলোমিটার। ২০০১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা প্রায় ১৯,৫৭০ জন ছিল। শিক্ষার হার ৫৪.৮%। এই ইউনিয়নে ০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২ টি উচ্চ বিদ্যালয়, ০২ টি মাদ্রাসা, ০৪ টি কেজি স্কুল এবং ০২ টি এনজিও স্কুল রয়েছে। কলেজ নেই। ঐতিহাসিক হিন্দা শাহী মসজিদ বাংলা ১৩৬৫ সালে স্থাপিত। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা পরবর্তীতে আপনাকে অবহিত করব।