২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি ছিলেন একজন দরজি, বয়স পঁচিশ বছর। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরকার-বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে বিনা কারণে আক্রমণ করে। নির্মমভাবে পেটানো এবং ছুরিকাঘাত করার পর তিনি মারাত্মক আহত হন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন।
এই হত্যাকাণ্ডটি দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রচারের ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবেও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অনেক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলে। এই মামলায় অনেক ছাত্রলীগ কর্মীকে বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর হাইকোর্টের রায়ে কিছু আসামীর সাজা কমানো হয় অথবা খালাস দেওয়া হয়।
বিশ্বজিৎ দাসের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। এ ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরে। আরও তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই লেখাটি আরও সমৃদ্ধ করবো।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার বিচার এখনও চলছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে আপডেট দেওয়া হবে।