বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট: একটি ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ
২০২৪ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি প্রধান সংগঠন, ‘বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ’ এবং ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট’, একীভূত হয়ে ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠন করে। এই জোটের প্রধান উদ্দেশ্য হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায় এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
জোট গঠনের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সংঘটিত নির্যাতন, হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এই ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ এবং নির্যাতিতদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জোটটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
জোটটির আট দফা দাবিতে রয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, দোষীদের দ্রুত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন বরাদ্দ, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিনের সরকারি ছুটির দাবি। এছাড়াও, জোটটি চট্টগ্রামের হাজারী গলির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনসহ আরও পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
জোট গঠনের পর, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং জোটটি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি জানায়। তার গ্রেফতার এবং হাজারী গলির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জোরদার করে জোটটি।
জোটের কর্মকাণ্ড
জোটটি বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে তাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করে। তাদের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বলে জোটের দাবি।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।