প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ও চীন সফর: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা
২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও চীন সফর করেন। এই দুটি সফরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ভারত সফর (২১-২২ জুন, ২০২৪):
ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০ টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়, যার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ’, ‘বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ’, ‘মেরিটাইম কোঅপারেশন’, ‘মহাকাশ সহযোগিতা’, ‘রেলওয়ে কানেক্টিভিটি’, ‘ওশেনোগ্রাফি সহযোগিতা’, ‘মিলিটারি শিক্ষা সহযোগিতা’ এবং আরো তিনটি সমঝোতা স্মারক পুনর্নবায়ন। আলোচিত বিষয়ের মধ্যে ছিল তিস্তা প্রকল্প, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি (সেপা), সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়, মেরিটাইম সিকিউরিটি, উপ-আঞ্চলিক এনার্জি হাব গঠন ইত্যাদি।
চীন সফর (৮-১০ জুলাই, ২০২৪):
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং যান শেখ হাসিনা। এই সফরে ২১ টি সমঝোতা স্মারক ও ৭ টি ঘোষণাপত্রে সই হয়। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চার ধরনের ঋণের প্রস্তাব দেয় এবং ১০০ কোটি ইউয়ান (প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা) আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আলোচিত বিষয়ের মধ্যে ছিল অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ঋণ সহায়তা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, পায়রা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন, বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি, ডিজিটাল অর্থনীতি ইত্যাদি। সফরের শেষে দুই দেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
দুটি সফরই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে করা হয়। তবে, তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। চীন থেকে প্রত্যাশিত ৫০০ কোটি ডলার ঋণও পাওয়া যায়নি।
আরও তথ্যের জন্য:
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সকল তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সরকারি সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইট এবং বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যমের খবর পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।