দুই ফয়েজ আহম্মদ: একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, অপরজন সাংবাদিক
বাংলাদেশে দুজন ফয়েজ আহম্মদ রয়েছেন যাদের সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করা হলো। প্রথম ফয়েজ আহম্মদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং দ্বিতীয় ফয়েজ আহম্মদ একজন সাংবাদিক।
ফয়েজ আহম্মদ (সরকারি কর্মকর্তা):
ফয়েজ আহম্মদ একজন বাংলাদেশী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ফজলুল করিম মোল্লা ছিলেন একজন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি এবং সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে এবং পরে ১৯৮৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী ও চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ৩ জুলাই ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১ জানুয়ারি ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। তার স্ত্রী ডা. তাহমিনা সুলতানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
ফয়েজ আহম্মদ (সাংবাদিক):
এই ফয়েজ আহম্মদ (আহমেদ ফয়েজ নামেও পরিচিত) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিউ এজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেনার নিউজের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, সাপ্তাহিক বুধবার, দৈনিক মানবকণ্ঠ ও পাক্ষিক তারকালোকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। তার লেখা বই ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।
উভয় ফয়েজ আহম্মদের বিস্তারিত জীবনী সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের অবহিত করবো।