ফল চাষ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপরহাটি এলাকার কমলা চাষি মলয় কুমার লিটনের বাগানে ‘চায়না’ কমলার বাণিজ্যিক চাষ ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। ২০০৮ সালে ৮০ শতাংশ জমিতে ফুলের নার্সারি হিসেবে শুরু হওয়া এই বাগানে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রভাবে ফুল ব্যবসায় ধাক্কা লেগেছিল। ফলে মন্দা কাটাতে লিটন কমলার চাষ শুরু করেন। নিবিড় পরিচর্যার ফলে ২০২২ সালে ভাল ফলন পান। এই চায়না ম্যান্ডারিন কমলা চীনে উৎপত্তি হয়েছে। গাছ থেকে প্রতি কেজি কমলা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ ধরে বিক্রি চলছে, এ বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি হয়েছে। বাগানে কাটিমন আম, বরই, সফেদা, জাম্বুরা এবং আদাও চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার তথ্য অনুযায়ী, জেলার সাত উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে কমলা এবং ৪৪ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। ৫৭৬টি বাগানে প্রায় ৪০ হাজার গাছ রয়েছে যা প্রায় ৬৩৬ টন ফলন দেয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। লিটনের বাগানে দর্শনার্থীদের জন্যে হাঁটার ব্যবস্থা রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গাইবান্ধায় চায়না কমলার সফল বাণিজ্যিক চাষ
  • মলয় কুমার লিটনের উদ্যোগ
  • করোনা মহামারীর পর কমলা চাষে ধাক্কা সামলে উঠা
  • প্রতি কেজি কমলা ২০০ টাকায় বিক্রি
  • জেলার কমলা-মাল্টার বাজার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা

গণমাধ্যমে - ফল চাষ

কৃষকরা বিভিন্ন ধরণের ফলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।