ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা

আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২:১৯ এএম

ভাঙ্গা উপজেলা ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ফরিদপুর সদর থেকে ২৮ কিমি পূর্বে এবং কাওরাকান্দি থেকে ২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে সদরপুর ও নগরকান্দা উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও মাদারীপুরের রাজৈর, পূর্বে মাদারীপুরের শিবচর ও সদরপুর এবং পশ্চিমে নগরকান্দা উপজেলা অবস্থিত।

ঐতিহাসিক দিক থেকে, ভাঙ্গার নামকরণ নিয়ে দুটি প্রধান মতবাদ প্রচলিত। একটি মতে, কুমার নদীর তীরে অবস্থিত একটি বাজারকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের লোকের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে বাজারটি ভেঙ্গে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়, এবং সেখান থেকেই ‘ভাঙ্গা’ নামকরণের উৎপত্তি। অন্য মতে, ব্রিটিশ আমলে দেওড়া এলাকায় অবস্থিত থানাকে ভেঙে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরের পর ‘ভাঙ্গা’ নামটি প্রচলিত হয়।

ভৌগোলিক দিক থেকে, ভাঙ্গা উপজেলার আয়তন ২১৫.৩০ বর্গ কিমি। এখানে আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও শীতলক্ষ্যা নদী প্রবাহিত। ১২ টি ইউনিয়ন, ১৩৬ টি মৌজা এবং ২২৭ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২,৫৯,০৩২ জন। জনসংখ্যার ৯০.৩৫% মুসলিম, ৯.৫২% হিন্দু এবং অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

ভাঙ্গার অর্থনীতি প্রধানত কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। মালিকগ্রামের পাট ও গরু হাট সারা দেশে পরিচিত। শিক্ষার হার প্রায় ৬৫%, যেখানে ৪ টি কলেজ, ৩০ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে, পাতরাইল মসজিদ, পাতরাইল দীঘি, খাটরার বাসুদেব মন্দির উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাতরাইল যুদ্ধ এই উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলেও, বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ সীমিত। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আপনাকে অবগত করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফরিদপুর জেলার একটি উপজেলা ভাঙ্গা
  • কুমার নদীর তীরে অবস্থিত
  • কৃষি ও গরু/পাটের হাটের জন্য বিখ্যাত
  • মুক্তিযুদ্ধের সময় পাতরাইল যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল
  • প্রায় ২,৫৯,০৩২ জনসংখ্যা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।