ফতোয়া (ফাতওয়া) ইসলামী আইনবিধানের (ফিকাহ) একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে, কোন মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ দ্বারা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রদত্ত বিধান ও সমাধান। যখন কোন ব্যক্তি কুরআন, হাদিস কিংবা ফিকহের আলোকে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন না তখন তিনি মুফতীর কাছে সমাধান চান, একে ইসতিফতা বলে। মুফতি ইসলামী শরীয়তের আলোকে সমাধান জানিয়ে দেন, একে ইফতা বলে।
২০০১ সালের ১ জানুয়ারি, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ (বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা) ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন। রায় অনুযায়ী, একমাত্র আদালতই আইনসংক্রান্ত প্রশ্নে মতামত দিতে পারে, এবং ফতোয়া প্রদান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।
এই রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন। ২০১১ সালের ১২ মে, আপিল বিভাগ (প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে) ফতোয়াকে বৈধ ঘোষণা করেন, তবে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদানের অনুমতি দেন না। আপিল বিভাগের মতে, ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া যেতে পারে, তবে শিক্ষিত ব্যক্তিই তা দিতে পারবেন এবং ফতোয়া গ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে। এমন ফতোয়া দেওয়া যাবে না যা কারো অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।
দারুল উলুম দেওবন্দে সর্বপ্রথম দারুল ইফতা চালু হয়। বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শর্ষিণা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদরাসা, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া, হাটহাজারী দারসে নিযামী মাদরাসা ও চট্টগ্রাম মাদরাসা ফতোয়া প্রদান করে। ফতোয়া সম্পর্কে আরো তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাকে অবগত করব।