পূর্ণিমা: চাঁদের আলোয় আলোকিত এক রাত
পূর্ণিমা, চন্দ্রের একটি বিশেষ কলা যখন পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চাঁদ সূর্যের আলোয় সম্পূর্ণ আলোকিত হয়। এই সময় চাঁদকে একটি পূর্ণ গোলাকার চাকতির মতো দেখায়। পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটে। পূর্ণিমা শুধুমাত্র একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা নয়, বরং বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মে এর গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মে পূর্ণিমা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বৈশাখ পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত, যে দিন গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ হয়েছিল। আষাঢ় পূর্ণিমা বুদ্ধের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি, গৃহত্যাগ এবং প্রথম ধর্মদেশনার দিন। ফাল্গুন পূর্ণিমা বুদ্ধের পরিবারের সঙ্গে জ্ঞাতিমিলনের দিন। আশ্বিন পূর্ণিমা, বা প্রবারণা পূর্ণিমা, বর্ষাবাস সমাপ্তির ও ভিক্ষুসংঘের দোষত্রুটি স্বীকারের দিন। মাঘ পূর্ণিমা বুদ্ধের পরিনির্বাণের কথা ঘোষণার দিন। প্রতিটি পূর্ণিমা তাদের নিজস্ব তাৎপর্য বহন করে এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ অনুষ্ঠান পালিত হয়।
পূর্ণিমা কেবলমাত্র বৌদ্ধদের জন্যই নয়, অন্যান্য ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের জন্যও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি, উৎসব ও প্রথা পূর্ণিমার সঙ্গে জড়িত।
এই লেখায় বিভিন্ন পূর্ণিমা তিথির ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে এবং উল্লেখিত হয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে পূর্ণিমা উৎসবের সঙ্গে জড়িত মেলা সমূহ যেমন শাক্যমুনি মেলা, আচারিয়ার মেলা, ধাতুমেলা, বোধিমেলা, বুড়া গোঁসাই মেলা, পরিনির্বাণ মেলা, বুদ্ধ মেলা এবং আর্যমিত্র মহাপরিনির্বাণ মেলা। পূর্ণিমার সাথে জড়িত ব্যক্তি, স্থান এবং অনুষ্ঠানের বিবরণও প্রদান করা হয়েছে।