ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি: বাংলাদেশি বিচারকদের প্রশিক্ষণ
ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি (National Judicial Academy) বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার ফলে বাংলাদেশের বিচারকরা ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারছেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণের বিষয়াবলী: প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তুতে সাধারণত আইন প্রয়োগের আধুনিক পদ্ধতি, বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা, আইনি গবেষণা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা: অধস্তন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা, যেমন সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
অর্থায়ন: প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করে। বাংলাদেশ সরকারকে এজন্য কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ও ঘটনা:
- ২০১৭ সালের এপ্রিল: বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
- ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর: বাংলাদেশের বিচারকদের প্রথম প্রশিক্ষণ ভারতে।
- ২০২৫ সালের জানুয়ারি: ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের অনুমোদন।
স্থান:
- ভূপাল, ভারত
ব্যক্তি:
- শেখ হাসিনা (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী)
- সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (তৎকালীন প্রধান বিচারপতি)
সংগঠন:
- বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট
- ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি
- বাংলাদেশ আইন মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত তথ্য: আমরা এই বিষয়ে আরও তথ্য যোগ করবো যখন তা উপলব্ধ হবে।