নূর

নূর নামটি একাধিক ব্যক্তি, বস্তু এবং ঘটনার সাথে জড়িত। এই লেখায় আমরা নূর নামের সাথে সম্পর্কিত তিনটি উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

  • *১. শহীদ নূর হোসেন:** ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, জিয়াউর রহমানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির সময় নূর হোসেন শহীদ হন। ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণকারী নূর হোসেন ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদক। তিনি গায়ের জামা খুলে উদোম বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক: গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে প্রতিবাদে অংশ নেন এবং পুলিশের গুলিতে জিরো পয়েন্টে নিহত হন। তাঁর আত্মত্যাগ গণতন্ত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তীতে জিরো পয়েন্টের নামকরণ হয় নূর হোসেন স্কোয়ার।
  • *২. দরিয়া-ই-নূর:** বিশ্বখ্যাত এই হীরকটি ‘সমুদ্রের আলো’ নামেও পরিচিত। কোহিনূরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এই ২৬ ক্যারেটের হীরকটি দীর্ঘদিন মারাঠা রাজাদের অধিকারে ছিল, পরে হায়দরাবাদের নওয়াব এবং রণজিৎ সিংহের কাছে যায়। ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে পড়ে এবং পরবর্তীতে ঢাকার নওয়াব খাজা আলীমুল্লাহ ৭৫ হাজার টাকায় নিলামে ক্রয় করেন। বর্তমানে এটি সোনালী ব্যাংকের ভল্টে সংরক্ষিত আছে।
  • *৩. শেখ নূর কুতুব আলম:** একজন দরবেশ এবং রাজা গণেশের অত্যাচার থেকে বাংলার মুসলমানদের রক্ষাকারী ব্যক্তিত্ব। তিনি পান্ডুয়ার পীর আউলিয়াদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন এবং চিশতিয়া মতাদর্শের পীর ছিলেন। রাজা গণেশের সাথে সংঘর্ষের পর তিনি গণেশকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেন এবং বাংলার মুসলিম রাজ্যকে এক ভয়াবহ ধ্বংসলীলা থেকে রক্ষা করেন।

তিনটি নূর; তিনটি ভিন্ন গল্প, তিনটি ভিন্ন অবদান। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ইতিহাসে অমূল্য অবদান রেখেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • শহীদ নূর হোসেন গণতন্ত্র আন্দোলনের একজন বীর শহীদ।
  • দরিয়া-ই-নূর বিশ্বখ্যাত একটি মূল্যবান হীরক।
  • শেখ নূর কুতুব আলম বাংলার মুসলমানদের একজন রক্ষাকারী ব্যক্তিত্ব।
  • নূর মোহাম্মদ শেখ একজন বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা।
  • নূর-অল ইমান সমাজ রাজশাহীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

গণমাধ্যমে - নূর

১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:০০ এএম

‘নূর’ ছবিটির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।