নিয়োগের দাবি

চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে এই তিনটি পদ পূরণের দাবি জানিয়েছে তারা। 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ব্যানারে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জিইসি ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৬ ডিসেম্বর উপাচার্য সমাবজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ পদত্যাগ করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। এই পদগুলি শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সাথে দেখা করে এই তিনটি পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান না মিলে তারা ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে নিজেদের দেওয়া তালিকা থেকে নিয়োগের জন্য দাবী উত্থাপন করেছে। আগের ট্রাস্টি বোর্ডের কারও সুপারিশে যদি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। তারা ৫ আগস্টের পর থেকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে বলেও জানিয়েছে। শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদল ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের তালিকা নিয়ে ঢাকায় যাবে এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদের শূন্যতা
  • ৭ দিনের মধ্যে পদ পূরণের শিক্ষার্থীদের দাবি
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কাছে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ
  • শিক্ষার্থীদের নিজস্ব তালিকা থেকে নিয়োগের প্রস্তাব
  • পলাতক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিষয়