নিহতদের পরিবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দাবি: সরকারি চাকরি, আর্থিক অনুদান ও বেকার ভাতা

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় নিহতদের পরিবারগুলো ১১ দফা দাবি তুলে ধরেছে। প্রস্তাবিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার বিষয়ক কমিটি’র আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনে নিহত ও আহত শিক্ষার্থী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারীর পরিবারের সঠিক তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকারি চাকরিতে পুনর্বাসন, প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাসিক দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে অনুদান, চাকরিপ্রার্থীদের তিন হাজার টাকা বেকার ভাতা, আহতদের চিকিৎসার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণে পরিবর্তন (পিলখানা শহীদদের নামে), আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিরপেক্ষ সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি, বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটকে সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জুলুম-নির্যাতনের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনঃনিয়োগ, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত বিচার এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয়, আহত ও নিহতদের পরিবারের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কমপক্ষে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা।

কমিটি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে এবং সেনাপ্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর সব স্তরের সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছে। এই ঘটনার সাথে যুক্ত সঠিক তথ্য ও ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় নিহতদের পরিবার ১১ দফা দাবি জানিয়েছে।
  • দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারি চাকরি, আর্থিক অনুদান ও বেকার ভাতা।
  • আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সঠিক তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • কমিটি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।

গণমাধ্যমে - নিহতদের পরিবার

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিহতদের পরিবার ছাত্রলীগের কর্মী বলে প্রচারের বিরুদ্ধে বলেছে।