নিউ ইয়র্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমুখী ও গভীর। এই সম্পর্কের ইতিহাস স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই শুরু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যদিও নিশ্চিতভাবে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল না, তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং উন্নয়নে সহায়তা করে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হয়। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায় এই সম্পর্ককে আরও গভীর করে তুলেছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে তার বৈঠক দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতার নতুন ধারা স্থাপনের ইঙ্গিত বহন করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচীতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিউ ইয়র্ক একটি কেন্দ্রীয় স্থান ধারণ করে। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় 'লিটল বাংলাদেশ' এর উন্নয়ন ও একটি রাস্তার নামকরণ 'বাংলাদেশ স্ট্রিট' এর প্রস্তাব বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ও অবদানের প্রতীক। এছাড়াও, বাংলাদেশের অনেক জন নিউ ইয়র্কে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সন্ধানে আসে। মোটকথা, নিউ ইয়র্ক ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
নিউ ইয়র্ক ও বাংলাদেশ
আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:১১ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং উন্নয়নে সহায়তা করে।
- নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায় দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর করে তুলেছে।
- ড. ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফর দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতার নতুন ধারা স্থাপনের ইঙ্গিত বহন করে।
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রীয় স্থান।
- জ্যাকসন হাইটসের 'লিটল বাংলাদেশ' বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির প্রতীক।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।