নাদিয়া শারমিন

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:০৩ এএম

নাদিয়া শারমিন একজন সাহসী বাংলাদেশী সাংবাদিক, যিনি ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত ‘সাহসী আন্তর্জাতিক নারী’ পুরষ্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হয়ে ২০০০ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেন এবং ২০০৯ সালে একুশে টেলিভিশনে পূর্ণকালীন সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মূলত অপরাধ সাংবাদিকতায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

২০১৩ সালে, একুশে টেলিভিশনে কর্মরত অবস্থায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক মিছিল কভার করার সময় তিনি হামলার শিকার হন। এই হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ৫০/৬০ জনের একটি দল তাকে পানির বোতল এবং ইটের টুকরো নিয়ে ধাওয়া করে, তাকে পিটিয়ে জখম করে। তার সহকর্মী পুরুষ সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানরাও হামলার শিকার হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে, কিন্তু কোনো গ্রেফতার হয়নি। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে, মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এবং পিস ফর বাংলাদেশ আদালতে শরণাপন্ন হয় নাদিয়ার পক্ষে। আদালত মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং অপরাধীদের গ্রেফতার এবং নাদিয়ার চিকিৎসা ব্যয় বহন করার নির্দেশ দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি এবং সরকার তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করেনি।

সুস্থ হওয়ার পরে, তিনি একাত্তর টেলিভিশনে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পুনরায় অপরাধ বিটে কাজ শুরু করেন এবং বর্তমানেও সেখানেই কর্মরত আছেন। নাদিয়া শারমিনের উপর হামলার ঘটনা নারী অধিকার আন্দোলনে নতুন উদ্যম এনেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিনি যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

মূল তথ্যাবলী:

  • নাদিয়া শারমিন একজন সাহসী বাংলাদেশী সাংবাদিক
  • ২০১৫ সালে ‘সাহসী আন্তর্জাতিক নারী’ পুরষ্কার লাভ
  • ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের হামলার শিকার
  • একুশে টেলিভিশন এবং বর্তমানে একাত্তর টিভিতে কর্মরত
  • ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।