দুই নাজমুল হুদা: একজন রাজনীতিবিদ, অপরজন মুক্তিযোদ্ধা
এই নিবন্ধে দুইজন নাজমুল হুদার কথা বলা হবে। একজন ব্যারিস্টার ও রাজনীতিবিদ, অপরজন মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য, আমরা রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ‘ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’ এবং মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার নাজমুল হুদাকে ‘কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা’ হিসেবে উল্লেখ করব।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা:
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (৬ জানুয়ারি ১৯৪৩ - ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ব্যারিস্টার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তিনি ২০১২ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন নতুন দল গঠন করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা:
কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ৭ নভেম্বর ১৯৭৫) ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যশোর ৮ নম্বর সেক্টরের বায়রা সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে তিনি অন্যান্য দুই সেনা কর্মকর্তার সাথে নিহত হন। তার মৃত্যুর ৪৭ বছর পর, ২০২৩ সালের ১০ মে, তার কন্যা নাহিদ ইজহার খান তার হত্যার মামলা দায়ের করেন।
উভয় নাজমুল হুদার সাধারণ তথ্য:
উভয় নাজমুল হুদাই বাংলাদেশের। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, আর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।