বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর জন্য নতুন পণ্য উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ১৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে, সরকার নতুন পণ্য উৎপাদন ও নতুন বাজার অন্বেষণে গুরুত্বারোপ করছে। তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীলতার পরিবর্তে পাট, চামড়া, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং হস্তশিল্পের মতো রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প পণ্যকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। সরকার ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে নতুন শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য 'ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, সরকার জাতীয় ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ প্রণয়ন করে রপ্তানিকে আরও উৎসাহিত করবে। সাতক্ষীরা থেকে ইতালিতে রপ্তানি হওয়া বিশেষ টাইলসের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের অঞ্চলভিত্তিক অন্যান্য পণ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন। ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইরানের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। নতুন পণ্য বিকাশে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কিছু কিছু নতুন পণ্য বাজারে ব্যর্থ হলেও অনেক পণ্য সফলতা অর্জন করছে। এই সফলতা অর্জনের পেছনে পণ্যের মান, ক্রেতার চাহিদা, ক্রেতার জীবনযাত্রার মান, পণ্যের নকশা ও মোড়কীকরণ সহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা জরুরী।