ধান সংগ্রহ

আপডেট: ২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪২ এএম

বাংলাদেশে প্রতি বছরই আমন ও বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রদান করা। তবে, এই অভিযান প্রায়শই নানা জটিলতার সম্মুখীন হয়।

২০২৪ সালের আমন মৌসুমে ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, দেড় মাস পর্যন্ত মাত্র অতি সামান্য পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে। সরকারি গুদামে ধান মিলেছে মাত্র ৫ হাজার ১১২ টন, সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৫ হাজার টন এবং আতপ চাল প্রায় ২২ হাজার টন। বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি এবং সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রির কারণে কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। মিল মালিকরাও লোকসানের আশঙ্কায় চাল সরবরাহ করছেন না।

উত্তরের উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের জেলাগুলি যেমন নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় এই সংগ্রহ অভিযান সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। নওগাঁয় ১৩ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। বাজারে ধানের দাম সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার “কৃষকের অ্যাপ” নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারবেন এবং ন্যায্যমূল্য পেতে পারেন। তবে, এই অ্যাপের সফলতার ওপর সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আমরা আপনাকে আরও তথ্য দিয়ে এই প্রতিবেদনটি আপডেট করবো যখনই আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের আমন মৌসুমে ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
  • দেড় মাস পর্যন্ত অতি সামান্য পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ
  • বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি এবং সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি
  • কৃষকদের সরকারি গুদামে ধান দিতে অনীহা
  • ‘কৃষকের অ্যাপ’ চালু করে সরকারি ধান সংগ্রহের নতুন উদ্যোগ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ধান সংগ্রহ

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় গত পাঁচ বছরে সরকারি খাদ্যগুদামে কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি।