ধলেশ্বরী নদী: বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। প্রায় ২৯২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীর গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর তথ্যানুযায়ী, এটি উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ২৭। যমুনা নদীর একটি শাখা হিসেবে ধলেশ্বরীর উৎপত্তি টাঙ্গাইলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে। এরপর এটি দুটি শাখায় বিভক্ত হয়: ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা। মানিকগঞ্জ জেলার কাছে এই দুটি শাখা মিলিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের কাছে শীতলক্ষ্যার সাথে মিলিত হয় এবং পরে মেঘনায় মিশে যায়। ঐতিহাসিকভাবে, ধলেশ্বরী সম্ভবত পদ্মার মূল ধারা ছিল। ১৬০০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে পদ্মার গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ধলেশ্বরীর অবস্থান ও গুরুত্ব বদলে গেছে। রামপুর-বোয়ালিয়া এলাকা ও চলন বিল এর মধ্য দিয়ে পদ্মার প্রবাহের ধারণা করা হয়। ১৮ শতকে পদ্মার নিম্ন প্রবাহ আরো দক্ষিণে ছিল এবং ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মূল প্রবাহ ধলেশ্বরী থেকে কীর্তিনাশা নদীতে সরে যায়। বর্তমানে, বস্ত্রশিল্পের কারণে ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষণ একটি বড় সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নদীর গভীরতা সর্বোচ্চ ৮১ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ধলেশ্বরী নদীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বুড়িগঙ্গা যা একসময় ধলেশ্বরীর একটি শাখা ছিল।
ধলেশ্বরী নদী
মূল তথ্যাবলী:
- ধলেশ্বরী নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী।
- এটি যমুনার একটি শাখা নদী।
- নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯২ কিলোমিটার।
- বস্ত্রশিল্পের কারণে নদীর পানি দূষিত।
- ঐতিহাসিকভাবে পদ্মার মূল ধারা হিসেবে ধারণা করা হয়।