ধনু নদ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০১ এএম

ধনু নদ: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী

ধনু নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী যা সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রবাহিত। ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীর গড় প্রস্থ ২২৮ মিটার এবং এর প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক ধনু নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৩৮। নদীর গভীরতা প্রায় ৮ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ৭০০ বর্গকিলোমিটার। ধনু নদীর পানিপ্রবাহ সারা বছরই থাকে, তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে তা কিছুটা কমে যায় এবং জুলাই-আগস্ট মাসে বর্ষার সময় পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাব এ নদীর উপর নেই, তবে বন্যার সময় প্লাবিত হয়।

উৎপত্তি ও সঙ্গম:

ধনু নদীর উৎপত্তি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় বাউলাই/বালু নদী থেকে। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় এটি মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির প্রবাহপথে মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর, ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা অবস্থিত। খালিয়াজুড়ি, ইটনা এবং মিঠামইন উল্লেখযোগ্য নদীতীরবর্তী শহর।

বালু উত্তোলন ও ভাঙন:

ধনু নদীতে বালু উত্তোলন একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীর ভেঙে গ্রামগুলির ক্ষতি হচ্ছে। বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য তারা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নদীতীরের জীবিকা ও অর্থনীতি:

ধনু নদী এলাকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদীপথ দিয়ে পাথর, বালু, কয়লা, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হয়। নদীর তীরে অবস্থিত উর্বর জমি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী, এবং এখানকার মৎস্য সম্পদও উল্লেখযোগ্য।

বন্যার প্রভাব:

ধনু নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিয়মিত বন্যা হয়, যা স্থানীয় জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বন্যার পানি কমতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং পানিবন্দীদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকট দেখা দেয়।

অতিরিক্ত তথ্য:

ধনু নদী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ধনু নদী সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রবাহিত।
  • এর দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ২২৮ মিটার।
  • নদীটি বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের শিকার হচ্ছে।
  • নদীটি এলাকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • বন্যার কারণে নিয়মিত ক্ষতি হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।