দেশান্তর

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৫১ এএম

দেশান্তর: একটি বহুমুখী শব্দ

'দেশান্তর' শব্দটির দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে: একটি চলচ্চিত্রের নাম এবং অন্যটি একটি বৃহত্তর ধারণা, যা অভিবাসন, স্থানান্তর, এবং দেশত্যাগের সাথে সম্পর্কিত।

দেশান্তর (চলচ্চিত্র): ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আশুতোষ সুজন পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। নির্মলেন্দু গুণের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে মৌসুমী, আহমেদ রুবেল, ইয়াশ রোহান, রোদেলা টাপুর এবং সুভাশিষ ভৌমিক প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পটভূমিকায় নির্মিত এবং দেশপ্রেম, পরিবার, এবং ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে তৈরি। এটি বাংলাদেশের নেত্রকোণা, গাজীপুর, কালীগঞ্জের নাগরী ও কেশরপা গ্রামে চিত্রায়িত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ১১ই নভেম্বর ২০২২ সালে মুক্তি পায় এবং ৪৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২৪তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারেও পুরস্কৃত হয়।

দেশান্তর (অভিবাসন): এটি একটি বহুল প্রসারিত ধারণা যা ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা জাতির স্বদেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে স্থানান্তরকে নির্দেশ করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু মানুষ বিভিন্ন কারণে দেশান্তর করেছে, যেমন ধর্মীয় নিপীড়ন, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং ব্যবসায়িক সুযোগ। ব্রিটিশ আমলে বাংলা থেকে বহু মানুষ বার্মা, ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে অভিবাসন করেছে। স্বাধীনতার পর, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশীদের অভিবাসনের ধারা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিবাসন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

দেশান্তরের সাথে জড়িত আরও কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে এবং আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আশুতোষ সুজন পরিচালিত ২০২২ সালের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ‘দেশান্তর’ মুক্তি পায়।
  • ‘দেশান্তর’ চলচ্চিত্রটি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।
  • চলচ্চিত্রে মৌসুমী, আহমেদ রুবেল, ইয়াশ রোহান, রোদেলা টাপুর ও সুভাশিষ ভৌমিক অভিনয় করেছেন।
  • ‘দেশান্তর’ শব্দটি অভিবাসন ও দেশত্যাগের সাথেও সম্পর্কিত।
  • বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক দেশান্তরের ঘটনা ঘটেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।