দামিহা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:১০ এএম

দামিহা: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গতিশীল ইউনিয়ন

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার অন্তর্গত দামিহা ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। প্রায় ১১.৪৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ইউনিয়নে প্রায় ৪০,২৭৯ জন মানুষ বসবাস করেন, যার মধ্যে পুরুষ ১৯,১৫৪ জন এবং মহিলা ২১,১২৫ জন। দামিহা ইউনিয়ন কেবলমাত্র প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে নয়, বরং এর একটি অনন্য পরিচয় রয়েছে তুষ-হারিকেন পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে।

তুষ-হারিকেন পদ্ধতি: একটি অর্থনৈতিক রূপান্তর

১৯৯১ সালে সাভার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর মো. আবুল হোসেন দামিহার মোটে ছোট পরিসরে এই পদ্ধতির সূচনা করেন। ধীরে ধীরে এ পদ্ধতি সারা দামিহা গ্রামে এবং আশেপাশের রাহেলা, কাচিলাহাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিতে কম খরচে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব, ফলে এই কাজে জড়িত হাজার খানেক বেকার যুবক-যুবতী ও স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের উন্নতিতে বিরাট অবদান রয়েছে।

তাড়াইল উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৯০টি এই ধরণের হ্যাচারি রয়েছে যা প্রতি মৌসুমে এক কোটিরও বেশি হাঁসের ছানা উৎপাদন করছে। এই তুষ-হারিকেন পদ্ধতির মাধ্যমে দামিহা ও আশপাশের এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে গেছে। প্রতি ১০০ ছানা বিক্রি থেকে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় উন্নয়নের সম্ভাবনা

স্থানীয়রা জানান, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ সহায়তা পেলে এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা হলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে এবং দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এমনকি হাঁসের বাচ্চা রফতানি করাও সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, দামিহা ইউনিয়ন হ্যাচারি মালিক সমিতি গঠিত হয়েছে এবং এই উদ্যোগ সারা দেশের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রার উঠানামার কারণে মাঝে মাঝে ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা পরিহারের জন্য সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।

আরো তথ্য আপডেটের জন্য অপেক্ষা করুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • দামিহা ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় অবস্থিত।
  • এই ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ১১.৪৭ বর্গকিলোমিটার।
  • এখানে প্রায় ৪০,০০০ জন মানুষ বাস করে।
  • তুষ-হারিকেন পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন দামিহার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এই পদ্ধতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।