দখলমুক্ত: ভারতের কাশ্মীর থেকে শুরু হয়েছে সরকারি জমি উদ্ধার অভিযান
ভারত শাসিত কাশ্মীরে বেদখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধারের অভিযান ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারি করে সকল জেলা প্রশাসককে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পরই বুলডোজার ব্যবহার করে দখলমুক্তকরণের কাজ শুরু হয়। অভিযানের প্রেক্ষিতে কাশ্মীরের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, এবং পাথর ছোড়ার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযানে গরীব ও ধনী উভয় শ্রেণীর মানুষই সমস্যায় পড়েছেন। জুনেইদ আহমেদ, খালিদ আহমেদ এবং শোয়েব ওয়ানির মতো ব্যক্তিরা তাদের জমি বা সম্পত্তি হারানোর কথা বলেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দখলমুক্তকৃত জমিগুলো সরকারি জমি এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হবে। তবে অনেক অভিযোগ উঠেছে যে নোটিশ ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা আশ্বাস দিয়েছেন যে গরিব মানুষের ঘাবড়ানোর কিছু নেই, তবে পদবী অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযানের পর গরীব মানুষের সমস্যার সমাধান হয়নি। এই অভিযানে কিছু নেতা, কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হয়েছে।
এছাড়াও, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর দখলে থাকা প্রায় ৫ কিলোমিটার কোদলা নদীর অংশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দখলমুক্ত করেছে। বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে এই দখলমুক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। এই দখলমুক্তকরণে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
গাইবান্ধা পৌর শহরেও দখলমুক্তকরণের ঘটনা ঘটেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ গোবিন্দপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দখলকৃত একটি জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করেছে।
যশোরের শার্শায়ও সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের দখলে থাকা প্রায় ৩০০ বিঘা খাস জমি উপজেলা প্রশাসন দখলমুক্ত করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সড়াবাড়ি বিলের দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ভুটির খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীর দখলে থাকা এই খাল দখলমুক্ত করে মৎস্যজীবীদের জীবিকা রক্ষায় সহায়তা করা হয়েছে।