দেশে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির ঊর্ধ্বগতি: জনগণের আশা ও সংশয়
৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই দখলবাজি এবং চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির মতে, কর্তৃত্ববাদের অবসানের পর শূন্যস্থান পূরণের নামে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাগুলো ‘নতুন বাংলাদেশে’র স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত গণতান্ত্রিক স্বপ্নকে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি সকল রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিতে এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনকে ব্যক্তিগত, দলীয় বা গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধির সুযোগ হিসাবে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, বিএনপি'র দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ও অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগে ৫০০'র অধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার বা পদ স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহ্বায়ক কমিটি চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির ঘটনা ঘটেছে, যেমন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত একটি গোষ্ঠী বৈধ ইজারাদারদের মারধর করে ফেরিঘাট, মাছঘাট ও ট্রলারঘাট দখল করে নিয়েছে। এই ধরনের ঘটনাগুলো জনগণের মনে উদ্বেগ ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এই ধরনের দুর্বৃত্তাচার গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিরুদ্ধে এবং দেশের জনগণের প্রত্যাশাকে ব্যর্থ করতে পারে। সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।