দক্ষিণ খান

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৫৮ এএম

দক্ষিণখান ঢাকা মহানগরীর উত্তরা ও গাজীপুরের মাঝামাঝি অবস্থিত একটি উন্নয়নশীল এলাকা। এটি একসময় দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০০৬ সালে এটি থানায় উন্নীত হয়। নবাব আলীবর্দী খান ও তাঁর বংশধরদের সাথে এলাকার সম্পর্কের কারণেই এলাকার নামকরণ হয় দক্ষিণখান।

দক্ষিণখানের ভৌগোলিক অবস্থান উত্তরা ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী। এটি উত্তরে গাজীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে খিলক্ষেত থানা, পূর্বে উত্তরখান থানা এবং পশ্চিমে বিমানবন্দর ও উত্তরা থানা দ্বারা বেষ্টিত। এই এলাকার আয়তন প্রায় ১১.০৮ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১৭৭৭৬০; পুরুষ ৯৯৭৪৩, মহিলা ৭৮০১৭। মুসলিম ১৬৯৮১৩, হিন্দু ৬৪৫৫, বৌদ্ধ ৯২১, খ্রিস্টান ২৯৬ এবং অন্যান্য ২৭৫।

দক্ষিণখানের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে কৃষি, অকৃষি শ্রমিক, শিল্প, ব্যবসা, নির্মাণ, পরিবহন, চাকরি, ধর্মীয় সেবা, রেন্ট অ্যান্ড রেমিট্যান্স এবং অন্যান্য। প্রধান কৃষি ফসল ধান ও শাকসবজি। প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, নারকেল, জাম, পেয়ারা। তৈরি পোশাক এলাকার প্রধান রপ্তানিদ্রব্য। এলাকায় ৪০টির বেশি শিল্প ও কলকারখানা এবং ৮টি বাজার রয়েছে।

দক্ষিণখানে শিক্ষার হার ৬৮.৮৭%; পুরুষ ৭৩.৫৭%, মহিলা ৬৩.০৬%। স্কুল ও কলেজ ৬৯, মাদ্রাসা ২৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনোয়ারা মডেল ডিগ্রি কলেজ, দক্ষিণখান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সংখ্যা ৪। ব্র্যাক ও আশা সহ বেশ কিছু এনজিও এখানে কাজ করে।

যোগাযোগের দিক থেকে দক্ষিণখান উত্তরা ও গাজীপুরের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি রাস্তার উন্নয়ন কাজের কারণে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে এবং এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এই বিষয়ে জনগণ মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করেছে। তাদের দাবি রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করা এবং ভোগান্তি নিরসন করা।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৬ সালে দক্ষিণখান থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • নবাব আলীবর্দী খান ও তাঁর বংশধরদের নামানুসারে এলাকার নামকরণ।
  • প্রায় ১৭৭৭৬০ জনসংখ্যা, ৬৮.৮৭% শিক্ষার হার।
  • উত্তরা ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী অবস্থান।
  • তৈরি পোশাক প্রধান রপ্তানিদ্রব্য।
  • সম্প্রতি রাস্তার উন্নয়ন কাজের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।