তোফাজ্জল আলম তোফায়েল

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২২ পিএম

তোফাজ্জল হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মর্মান্তিক ঘটনা

২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তোফাজ্জল হোসেন (৩০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়। তার পিতা আব্দুর রহমান ২০১৬ সালে এবং মা বিউটি বেগম একই বছর ক্যান্সারে মারা যান। ২০২৩ সালে তার বড় ভাই নাসির উদ্দিন (বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর) ক্যান্সারে মারা যান। এই ঘটনার পর তোফাজ্জলের মানসিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতেন এবং শিক্ষার্থীদের দেওয়া খাবার গ্রহণ করতেন।

ঘটনাটি ঘটে এভাবে: ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন মোবাইল চুরির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। মারধরের সময় তাকে ক্রিকেট ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করা হয়। হত্যার আগে তাকে খাবার খাওয়ানো হয়। ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যদের নিয়ে গঠিত একদল শিক্ষার্থী এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করে। প্রক্টর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাৎক্ষণিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রক্টরদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠন, এবং রাজনৈতিক দলগুলি নিন্দা জানায়। এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আমানউল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে, যাদের মধ্যে তিনজন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং দুইজন সক্রিয় সদস্য। আটককৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেন, যদিও আইনজীবীরা এর সমালোচনা করেন। তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মব জাস্টিসের এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • তোফাজ্জল হোসেনের ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃশংস হত্যা।
  • তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
  • মোবাইল চুরির অভিযোগে ছাত্রদের দ্বারা মারধর ও হত্যা।
  • ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ।
  • ঘটনার পর ব্যাপক জনমত ও প্রতিবাদ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তোফাজ্জল আলম তোফায়েল

২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবে প্রবাসী নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।