তারাইল

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:০৮ এএম

কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত তারাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। প্রায় ১৪১.৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই উপজেলাটি এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত।

ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা: তারাইলের অবস্থান ২৪°৩২′১৫″ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫২′৩০″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা, দক্ষিণে করিমগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ইটনা উপজেলা এবং পশ্চিমে নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা অবস্থিত।

জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী: ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, তারাইলের জনসংখ্যা ছিল ১৫৯,৭৩৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭৯১৯৯ জন এবং মহিলা ৮০৫৪০ জন। ধর্মীয়ভাবে, জনসংখ্যার বেশিরভাগ মুসলিম।

প্রশাসন: তারাইল থানা ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে তা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। উপজেলাটি তারাইল পৌরসভা এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে বিভক্ত।

অর্থনীতি: তারাইলের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। ধান, পাট, গম, সরিষা ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও, মৎস্যচাষ, পোল্ট্রি, ও কুটির শিল্প উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষা: উপজেলায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তারাইল মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় (১৯৯২), তারাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), জাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৩) উল্লেখযোগ্য।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব: তারাইলের কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। যেমন, সাহেববাড়ি জামে মসজিদ (জাওয়ার, ৯৪১ হিজরি), পুরুড়া গ্রাম মসজিদ (বাদশাহী আমল) ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল।

অন্যান্য তথ্য: আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আমরা আপনাকে উপজেলার সরকারী ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট সরকারী দলিলাদি পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত তথ্য যোগ করার চেষ্টা করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • তারাইল কিশোরগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা
  • প্রায় ১৪১.৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত
  • ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৫৯,৭৩৯
  • মূলত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি
  • ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্যমান
  • মুক্তিযুদ্ধের সাথে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।