ড. মুহাম্মদ শমশের আলী: একজন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ
ড. মুহাম্মদ শমশের আলী বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব যিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং প্রশাসক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ১৯৩৭ সালের ২১ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক স্থান যশোরের সিঙ্গিয়া গ্রাম (বর্তমানে বসুন্দিয়া)। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা এবং পরে ভারতের চব্বিশ পরগনার রানাঘাটে। ১৯৪৮ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি পরিবারসহ যশোরে ফিরে আসেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে রাজশাহী কলেজে আইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬১ সালে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিওরেটিক্যাল নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এ পিএইচডি লাভ করেন।
১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। দেশে ফিরে আসার পর তিনি ঢাকার আণবিক শক্তি কেন্দ্রে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৭০ সালে আণবিক শক্তি কমিশনের পরিচালক হন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি অধ্যাপক উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য (১৯৯২-১৯৯৬) এবং সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (২০০২-২০১০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি ছিলেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তুর মধ্যে কুরআনিক বিজ্ঞান অন্যতম। ড. শমশের আলী বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সংস্থার সদস্য এবং একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তথ্যের অভাব থাকায় এখানে তাঁর সম্পূর্ণ পুরস্কার তালিকা ও গবেষণা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা পরবর্তীতে এই তথ্য উপলব্ধ হলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।