ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ: একজন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী
ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ একজন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি। তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের সূচনা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে ২০০২-২০০৩ সালে। পরবর্তীতে তিনি ২০০৬-২০০৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
ড. মাসুদ ১ মার্চ ১৯৭৮ সালে পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অধ্যাপক সিরাজ উদ্দীন খান এবং মাতা কানিজ ফাতিমা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছেন এবং বহু পুরষ্কার অর্জন করেছেন। তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
কর্মজীবন:
শিক্ষাবিদ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর হিসেবেও কর্মরত আছেন। তিনি একজন গবেষক এবং বহু গবেষণা প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন:
ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামি আন্দোলনের সাথে জড়িত ড. মাসুদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন।
সামাজিক কার্যক্রম:
ড. মাসুদ সক্রিয়ভাবে সমাজসেবায় জড়িত। তিনি বাউফল উন্নয়ন ফোরাম ও বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং পটুয়াখালী জেলা ফোরামের সভাপতি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেন এবং দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকেন।
পারিবারিক জীবন:
ড. মাসুদের স্ত্রী ডা. জাকিয়া ফারহানা একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
গ্রেপ্তার ও মামলা:
ড. মাসুদ ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এই অভিযোগ এবং গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তার গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখযোগ্য । তিনি ২৪ জুন ২০০৯ সালে জামিনে মুক্তি পান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার শিক্ষা, রাজনীতি ও সমাজসেবায় অবদানের মাধ্যমে সমাজে এক অনন্য স্থান করে নিয়েছেন।