ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিচড় ইউনিয়ন: পদ্মার তীরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। বারবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে এ এলাকা। পদ্মার পানির উচ্চতা ও নদীর প্রবাহের পরিবর্তন এখানকার বসতি ও কৃষিক্ষেত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় ২০২৪ সালের মে মাসে ডিক্রিচড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভাঙন দেখা দেয়। পালডাঙ্গী, খিদির বিশ্বাস ডাঙ্গী, আইজউদ্দীন মাতুব্বর ডাঙ্গী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়াও নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন এবং সদরপুরের কিছু গ্রামেও নদীভাঙন দেখা দেয়। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ভয়াবহ নদীভাঙনে তিন হাজারের বেশি বাড়িঘর এবং ৮০/৯০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়। বহু মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল ও অন্যান্য স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিএনপি নেতা পলাশ মিয়ার ইটভাটা ও ভেঙে যায়। নদীভাঙন ঠেকানোর জন্য ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর পানিগতিপথ পরিবর্তন এবং বিপরীত পাশে জেগে ওঠা চর অপসারণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়। পদ্মা নদীর ভাটার সময় পানি কমে যাওয়ায় এবং জোয়ারের সময় রাক্ষসরূপে নদী বন্যার মতো ক্ষতি করে। প্রতি বছরই এই এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়ে। পদ্মা নদীর উজান থেকে নিচের দিকে বয়ে আসা পানির চাপে ঘাট এলাকায় ভাঙন তীব্রতর হয়। ফরিদপুর সিএন্ডবিঘাট মাঝারি নৌবন্দর ঘাট হলেও পানি কমে যাওয়ায় মালামাল আমদানী- রপ্তানীতে বাধাগ্রস্ত হয়। ডিক্রিচড় ইউনিয়নে পেঁয়াজ চাষাবাদও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজের ব্যাপক চাষাবাদ হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়।
ডিক্রিচড়
আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪০ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ফরিদপুরের ডিক্রিচড় ইউনিয়ন পদ্মার তীরে অবস্থিত।
- নদীভাঙন এখানকার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।
- পদ্মার পানির উচ্চতা ও প্রবাহের পরিবর্তন ক্ষতির কারণ।
- ২০২৪ সালে ব্যাপক নদীভাঙনে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- পেঁয়াজ চাষাবাদ ডিক্রিচড়ের একটি প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।