টি কে গ্রুপ: বাংলাদেশের শিল্প জগতের এক অগ্রদূত
১৯৭২ সালে মাত্র দুই ভাই, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব এবং মোহাম্মদ আবুল কালামের সাহসী উদ্যোগের ফসল টি কে গ্রুপ। তাদের পিতা মীর আহমেদ সওদাগরের ব্যবসায়িক সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে, তারা মাত্র দুই হাজার টাকা মূলধন নিয়ে ভোগ্যপণ্য ব্যবসা শুরু করেন। আজ, ৫০ বছর পর, টি কে গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প ক্ষেত্রের এক নামকরা সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
টি কে গ্রুপের ব্যবসায়িক ক্রমবিকাশ:
প্রাথমিক ভোগ্যপণ্য ব্যবসা থেকে শুরু করে টি কে গ্রুপ ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ভোজ্য তেল পরিশোধন, ইস্পাত উৎপাদন, জাহাজ নির্মাণ, কাগজ, প্লাস্টিক, সিমেন্ট, বস্ত্র এবং আরও অনেক। গ্রুপটি দেশের সবচেয়ে বড় ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী এবং শীর্ষস্থানীয় ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। বার্ষিক টার্নওভার ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি এবং ৪৩টি উৎপাদন কারখানা এবং ৫০,০০০-এর বেশি কর্মী নিয়ে গ্রুপটি একটি বিশাল কার্যক্রম চালায়।
গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ড ও উৎপাদন:
টি কে গ্রুপের অধীনে অনেক নামকরা ব্র্যান্ড রয়েছে, যার মধ্যে ‘পুষ্টি’ ব্র্যান্ড ভোজ্য তেল বাজারে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। এছাড়াও তারা ‘সুপার বোর্ড’ (পার্টিকেল বোর্ড), ‘ঈগল’ (ঢেউটিন) সহ অন্যান্য ব্র্যান্ড মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
সামাজিক দায়িত্ব:
শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সফলতার উপর নির্ভর নয়, টি কে গ্রুপ সামাজিক দায়িত্ব ও পালন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সেবা খাতে তারা নিয়মিত অবদান রাখে।
উদ্যোক্তা দের দৃষ্টিভঙ্গি:
টি কে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইয়েরা এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সফলতায় পৌঁছাতে কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং গ্রাহক তৃপ্তির উপর জোর দিয়েছে। এই মূল্যবোধ ই আজ গ্রুপটিকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
টি কে গ্রুপ ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং বাজার অধ্যয়নের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখতে প্রস্তুত।
আরও তথ্যের জন্য:
আমরা আশা করি এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি টি কে গ্রুপ সম্পর্কে একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করবে। আরও বিস্তারিত তথ্য পেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।