জিরোমাইল: একাধিক অর্থ ও স্থানের বর্ণনা
'জিরোমাইল' শব্দটি খাগড়াছড়ির প্রেক্ষিতে কমপক্ষে দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে দ্ব্যর্থতা নিরসন করার জন্য বিষয়টি স্পষ্ট করা জরুরী।
১. খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের একটি স্থান: খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের জিরোমাইল এলাকাটি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান। ২০২৫ সালের ৪ জানুয়ারী এখানে বন্যপ্রাণী তক্ষক পাচারের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা হলেন মো. সালাউদ্দিন, মো. তৌহিদ ও এস এম রফিকুল ইসলাম। খাগড়াছড়ি সদর রেঞ্জার মোশারফ হোসেন এ বিষয়ে মামলা করেন। এই জিরোমাইল এলাকাটির আরও বিস্তারিত ভৌগোলিক তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নয়।
২. খাগড়াছড়ি শহরের একটি এলাকা: একই খাগড়াছড়িতে, জিরোমাইল এলাকাটি শহরের একটা অংশ যেখানে ২২ একর জায়গা জুড়ে একটি হর্টিকালচার হেরিটেজ পার্ক অবস্থিত। এই পার্কটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এবং এখানে ঝুলন্ত সেতু, পানির ফোয়ারা, কৃত্রিম হ্রদ, পিকনিক স্পট, গেস্টহাউস, হলরুম, বার্ডস পার্ক, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং টয় ট্রেনের মতো বিনোদনমূলক সুবিধা রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ের ঘটনা:
- ২০০৬ সালে আঞ্চলিক উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা।
- ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির সময় এই এলাকায় টায়ারে আগুন দেওয়ার ঘটনা।
- ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আবুল হাসানাত জুয়েল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেন।
বর্তমানে জিরোমাইল এলাকা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা ভবিষ্যতে এই লেখাটি আরও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আপডেট করবো।