শি জিনপিং (Xi Jinping) চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) সাধারণ সম্পাদক। ১৫ জুন, ১৯৫৩ সালে বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণকারী শি জিনপিং চীনের প্রথম প্রজন্মের কমিউনিস্ট নেতা শি চুংশুনের পুত্র। তার পৈতৃক নিবাস হনান প্রদেশের তেংচু জেলায়। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়, ১৫ বছর বয়সে তিনি গ্রামে বসবাস করতে বাধ্য হন এবং সেখানে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি কিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করে রাজনীতিতে উন্নতি করেন। তার রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য পদগুলির মধ্যে রয়েছে ফুচিয়েন প্রদেশের গভর্নর, চচিয়াং প্রদেশের পার্টি সেক্রেটারি এবং সাংহাইয়ের পার্টি সেক্রেটারি। ২০০৭ সালে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ২০১২ সালে তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি হন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং চীনের আন্তর্জাতিক ভূমিকা বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শি জিনপিং প্রিন্সলিং (Princeling) হিসেবে পরিচিত কমিউনিস্ট নেতাদের সন্তানদের দলের অন্তর্ভুক্ত। তার রাজনৈতিক দর্শন ও নীতি, যা 'শি জিনপিং থট' হিসেবে পরিচিত, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ও রাষ্ট্রের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি ২০২২ সালে তৃতীয় মেয়াদে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ সালে তৃতীয় মেয়াদে চীনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।
জিনপিং
আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:০৯ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- শি জিনপিং চীনের রাষ্ট্রপতি এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক
- তিনি ১৫ জুন ১৯৫৩ সালে বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন
- তার বাবা ছিলেন চীনের প্রভাবশালী কমিউনিস্ট নেতা শি চুংশুন
- তিনি কিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন প্রকৌশলে স্নাতক
- তিনি ২০০৭ সালে পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হন
- ২০১২ সালে তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হন
- তিনি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং চীনের আন্তর্জাতিক ভূমিকা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন
- তিনি ২০২২ এবং ২০২৩ সালে তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত হন।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।