জামায়াতে ইসলামি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ১৯৪১ সালে সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী ভারতে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এটি পাকিস্তান ও ভারতে পৃথক দলে বিভক্ত হয়। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী পূর্ব পাকিস্তানের শাখা থেকে উৎপত্তি লাভ করে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের মতো আধা-সামরিক বাহিনীর গঠনে সহায়তা করে। এদের উপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর জামায়াত নিষিদ্ধ হলেও, পরে ১৯৭৯ সালে পুনরায় রাজনীতিতে ফিরে আসে।

এরপর জামায়াত বিভিন্ন সময় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা ১৭ টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে জামায়াতের বেশ কিছু নেতা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং ফাঁসি ও কারাদণ্ডের রায় পান। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।

২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে ২৮ আগস্ট এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তবে ২০১২ সালে তাদের গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনা হয় এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা
  • যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
  • ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল
  • শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য

গণমাধ্যমে - জামায়াতে ইসলামি

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এই দলটি গোপাল বাগদির হত্যার নিন্দা জানিয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জামায়াতে ইসলামীর আমিরের বক্তব্যে দলের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।