ছদরুল আলম

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:০০ পিএম

বাংলাদেশে ‘ছদরুল আলম’ নামের একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন বলে জানা যায়। প্রদত্ত তথ্য থেকে দুজনের কথা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যজন ভাষা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

প্রথম ছদরুল আলম:

এই ছদরুল আলম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে চলে যান এবং মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বিমানবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় বৈমানিক ও এয়ারম্যান রিক্রুট ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি গোদনাইলে তেলের ডিপোতে হামলাসহ নানা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। তার সাহসিকতার জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করা হয় এবং ২০১৬ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার বাড়াইয়ের চর গ্রামে। তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে মারা যান।

দ্বিতীয় ছদরুল আলম:

এই ছদরুল আলম একজন ভাষা সৈনিক, চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষায়তনিক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং প্রথম শহীদ মিনারের নকশা করেছিলেন। তার জন্ম ১৯২৯ সালে শেরপুরে এবং মৃত্যু ১০ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে। তার পৈতৃক নিবাস নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তাকে ২০১৪ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘ছদরুল আলম’ নামের আরও কোন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরে আপনাদের অবহিত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা ছদরুল আলম বীর উত্তম ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত।
  • ভাষা আন্দোলনের নকশাকার ছিলেন ডা. ছদরুল আলম।
  • মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছদরুল আলমের পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জ।
  • প্রথম শহীদ মিনারের নকশা করেছিলেন ডা. ছদরুল আলম।
  • ডা. ছদরুল আলমকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।