গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপরহাটিতে মলয় কুমার লিটনের বাগানে ‘চায়না’ কমলার বাণিজ্যিক চাষ বেশ সাফল্য পেয়েছে। চীনে ব্যাপক চাষের কারণে এর নামকরণ ‘চায়না’ কমলা। ২০০৮ সালে ফুলের নার্সারি হিসেবে শুরু হওয়া এই বাগানে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর কমলার চাষ শুরু হয়। ২০২২ সালে প্রথম ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে বাগানে ১০০ টির বেশি চায়না ম্যান্ডারিন কমলা গাছ রয়েছে, এর ৯০% গাছে ফলন হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এ বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি হয়েছে। কমলা ছাড়াও বাগানে কাটিমন আম, বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও আদা চাষ হয়। গাইবান্ধা জেলায় ৪ হেক্টর সমতল ভূমিতে কমলা ও ৪৪ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়। ৫৭৬ টি বাগানে প্রায় ৪০ হাজার গাছ রয়েছে এবং বার্ষিক ফলন প্রায় ৬৩৬ টন, যার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে স্থানীয় জাতের তুলনায় চায়না কমলা বেশি মিষ্টি।
চায়না কমলা
মূল তথ্যাবলী:
- গাইবান্ধায় চায়না কমলার সফল বাণিজ্যিক চাষ
- চীনে ব্যাপক চাষাবাদ
- ২০২০ সালে করোনাকালে চাষ শুরু
- ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি
- বছরে আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি