চাঁদগাঁও: চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা হল চাঁদগাঁও। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে অবস্থিত এই থানার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব অপরিসীম। এই লেখায় আমরা চাঁদগাঁও থানার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো।
ভৌগোলিক অবস্থান:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পূর্বাংশে চাঁদগাঁও থানার অবস্থান। দক্ষিণে বাকলিয়া থানা, পশ্চিমে চকবাজার থানা, পাঁচলাইশ থানা, বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়ন, উত্তরে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন ও বুড়িশ্চর ইউনিয়ন এবং পূর্বে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়ন, হালদা নদী, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন, কর্ণফুলী নদী, বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী থানা অবস্থিত। থানার আয়তন প্রায় ২৫.৩২ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী:
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চাঁদগাঁও থানার জনসংখ্যা ছিল ২,৫৬,৪১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৩২,০৫৪ জন এবং মহিলা ১,২৪,৩৫৭ জন। মোট পরিবার সংখ্যা ছিল ৫৪,৯৪৯টি।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চাঁদগাঁও থানার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান এই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রটি দখলের জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড:
চাঁদগাঁও থানার অর্থনীতিতে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, পরিবহন এবং চাকুরী বিভিন্ন ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে বেশ কিছু গার্মেন্টস, কারখানা, বাজার এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রশাসন:
চাঁদগাঁও থানা ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর গঠিত হয়। পূর্বে এলাকাটি 'পাঠানগোদা' নামে পরিচিত ছিল।
উল্লেখযোগ্য স্থান:
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চৌধুরী মসজিদ, ইস্পাহানী স্কুল ও কলেজ, চৌধুরী স্কুল, স্বাধীনতা টাওয়ার।
আরো তথ্য:
চাঁদগাঁও থানা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে আমরা সংশ্লিষ্ট সূত্রে যোগাযোগ করে আপনাদের কাছে আরও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করবো।