চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশ: একটি গুরুত্বপূর্ণ থানার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত থানাটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন আদালত ভবন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, এবং রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে এই থানার কর্মকাণ্ড নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়, কোতোয়ালি থানা পুলিশ 'পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি'র সহযোগিতায় একটি টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছিল। এই সেবা স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে সহায়তা করেছিল।
২০২৪ সালের আগস্টে, চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় হিংসাত্মক ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা সহ অন্যান্য থানা গুলি ধ্বংসাত্মক হামলার শিকার হয়েছিল। এই ঘটনায় থানা ভবনের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র লুট হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ লুটপাটের মামলা দায়ের করেছিল।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ: ফজলুল কাদের চৌধুরী (সাবেক ওসি), আব্দুল করিম (বর্তমান ওসি), লিয়াকত আলী খান (সাবেক উপকমিশনার), নাজিম উদ্দিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি), কাজী তারেক আজিজ (অতিরিক্ত উপকমিশনার, গণমাধ্যম), চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তি)।
স্থান: চট্টগ্রাম আদালত ভবন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, পাঁচলাইশ।
আরও তথ্য উপলব্ধ হলে এই লেখা আপডেট করা হবে।