মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাগদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে সারা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার সন্ধ্যায় সীমান্তের জিরো লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পাথারিয়া চা বাগান সার্বজনীন শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গোপাল বাগদি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অখিল বাগদির ছেলে ছিলেন। জীবিকার তাগিদে সীমান্তের জঙ্গলে বাঁশ কেটে আনতে গেলে বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হন। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যেমন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী, বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে। বিএনপি নেতা শরীফুল হক সাজুসহ অনেক নেতা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন এবং বিচারের দাবি জানান। জেলা জামায়াতও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও তাহমিনা আক্তার নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। গোপাল বাগদির অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে গভীর শোক বিরাজ করছে। বিএসএফের এ ধরণের নির্মমতায় সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
Loading...
© ২০২৪ অটোমাইন্ড আইটি, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত.