বাংলাদেশ-ভারত গোপন চুক্তি: প্রকাশের দাবি ও বিতর্ক
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ভারতের সাথে সরকারের সম্পাদিত গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই চুক্তিগুলো জনসমক্ষে আনার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে পূর্ববর্তী সরকারের সাথে ভারতের করা সকল গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানান। তার মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এটি করা উচিত। তিনি ভারতের স্বার্থে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প স্থগিত, আন্তঃনদীর পানির ন্যায্য বণ্টন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ, সীমান্তে নিহতদের ন্যায়বিচার এবং ভারতের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনকল্যাণমূলক নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
এই চুক্তিগুলোর স্পষ্ট বিষয়বস্তু বর্ণনা করা সম্ভব নয়, কেননা এগুলো গোপনীয়। তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, এই চুক্তিগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতি, পানি সম্পদ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি সংস্থার সাথে টেন্ডার বিহীন গোপন চুক্তি বাতিলের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানোর ঘটনাও উল্লেখযোগ্য। বাংলামার্ক কর্পোরেশনের সত্বাধিকারী মোঃ রফিকুল ইসলামের পক্ষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে এই চুক্তির ফলে দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব এবং চাকরি হারানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গোপন চুক্তিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন উঠে আসায় এই আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। জনগণের অধিকার এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই চুক্তিগুলো জনসমক্ষে আনার দাবি উঠছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য এখনও প্রকাশিত হয়নি।